‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেট থেকে বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু এখন বরিশালের মেয়র

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে শাহাদত বরন করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একই দিন বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্য ঘাতকের বুলেটে শহীদ হন এবং অন্য আরও দুটি বাড়িতে তার ঘনিস্ট আত্মীয়দের বাড়িতেও পৈচাশিক হত্যাযগ্য চালায় খুনীরা। তাঁরই একটি বাড়ি মিন্টু রোডে দাদা ও বঙ্গবন্ধু সরকারের কৃষিমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি, মুক্তিযুদ্ধের বীর সংগঠক আব্দুর রব সেরেনিয়াবতের বাসায় নির্মম হত্যাকাণ্ড চালায় । সেখানেই শহীদ হন দাদা আব্দুর রব সেরেনিয়াবাত ও সাদিক আবদুল্লাহ বড় ভাই সাড়ে চার বছর বয়সের সুকান্ত বাবু এবং পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য । সৌভাগ্য কিম্বা দুর্ভাগ্য ক্রমে বুলেটবিদ্ধ মায়ের কোলে চরে কোনমতে বেঁচে যান দেড় বছরের অবুঝ শিশু সাদিক আবদুল্লাহ ।
স্বাধীন কোন দেশে স্বাধীনতার বছর তিনেক পরে এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা কি কোন দেশে ঘটেছিল ? ১৫ আগস্ট বিদেশে থাকায় খুনিদের টার্গেট থেকে বেঁচে যাওয়া শেখ হাসিনা আজ পৃথিবীর অন্যতম সফল ও সেরা সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । সেদিনের সেই দের বছর বয়সের শিশু সাদিক দেশের অন্যতম একটি বড় শহরের বিপূল ভোটে নির্বাচিত মেয়র ।
তাই তো মা সাহানারা আবদুল্লাহ, যিনি ১৫ আগস্টের কালো রাতে বুলেট বিদ্ধ হয়েছিলেন সাদিকের নির্বাচনী প্রচারনায় বলেছিলেন – ১৯৭৫ এর ১৫আগস্ট সাদিক আব্দুল্লাহ’র বয়স ১ বছর ৮ মাস। সেই কালো রাতে তাঁর চোখের সামনে তার বড় ছেলে সুকান্ত বাবু হানাদারদের বুলেটে ক্ষতবিক্ষত হয়ে নিহত হন। তিনি নিজেও গুলিবিদ্ধ অবস্হায় ছোট ছেলে সাদিক আব্দুল্লাকে বুকে জড়িয়ে ধরে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন আর আল্লাহকে স্মরণ করেছিলেন। সাহানারা আব্দুল্লাহ আরো বলেছিলেন ‘সাদিক আব্দুল্লাহকে দিয়ে আল্লাহ হয়ত ভাল কিছু করাতে চেয়েছিলেন বলেই হয়ত সেদিন সে নিশ্চত মৃত্যুর হাত থেকে তাকে রক্ষা করেছিলেন’।
সেদিনের সেই বেঁচে যাওয়া শিশু আজ বরিশাল নগরের মেয়র ।